আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম অভিনয়, প্রযোজনা ও গান নিয়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। তার কাজগুলো প্রকাশ হলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
কিন্তু এবার থানার ভেতর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন হিরো আলম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক এনামুল হক।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীও উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, হিরো আলমকে একজন ৫০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন। সেই ধার পরিশোধের জন্য বারবার তাগাদা দেওয়ার পরেও হিরো আলম সেই টাকা পরিশোধ করছিলেন না। পরে ভুক্তভোগী আকাশ রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আলমকে থানায় ডাকা হয়।
ভুক্তভোগী ও হিরো আলমকে মুখোমুখি করা হলে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ তাদের লকআপে রাখে। পরে দুজনের মধ্যে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর উপস্থিতিতে মীমাংসা করা হয়।
হাতাহাতির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হিরো আলম বলেন, আমার কাছে সে টাকা পেত। এ জন্য আমি তাকে সেই টাকার বিনিময়ে একটা ইউটিউব চ্যানেল দিয়েছিলাম। বহুদিন পর সে ইউটিউব চ্যানেল ফেরত দিয়ে টাকা চায়। এখন আমি কেন টাকা দেব? তার বোন এসে আমাকে হুমকি দিয়েছে।
ভুক্তভোগী আকাশ বলেন,‘আমি টাকা পাই তার কাছে ৫০ হাজার। সে আমাকে টাকা আজ দেব কাল দেব বলে ঘুরাচ্ছিল। ফলে আমি থানার দ্বারস্থ হয়েছি। কাল রাতে তার মীমাংসা হয়েছে, সে আমাকে টাকা দিয়ে দেবে।
হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক এনামুল হক বলেন, দুজনের মধ্যে পাওনা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। সেটা মীমাংসা করতে থানায় ডাকা হয়েছিল। এ সময় দুজনই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পড়ে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আকস্মিকভাবে আলোচনায় উঠে আসেন হিরো আলম। এরপর বগুড়া থেকে ঢাকায় এসে একের পর মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন।
‘মার ছক্কা’ নামের একটি চলচ্চিত্রেও অভিনয়ের সুযোগ পেলে তার। তবে এবার সবকিছুকে ছাড়িয়ে হিন্দি ছবিতে ডানা মেলতে যাচ্ছেন আলোচিত এই অভিনেতা।